যা পাওয়া যায় তার থেকে বেশি দিতে হয়-
একবার সফল হওয়া সহজ। যদি জীবনে সবার আগে চলতে চান তাহলে অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। এই অতিরিক্ত পথ চলতে কোন প্রতিযোগিতা নেই। যে কাজের জন্য মাইনে পান তার থেকে অল্প বেশি কাজ করতে কি আপনি তৈরি আছেন? এমন কতজন লোক আছেন যারা মাইনের জন্য যা কাজ করে তার থেকে একটু বেশি কাজ করতে প্রকৃত ব বেশি নয়। অধিকাংশ লোকই যে কাজের জন্য মাইনে পান তার থেকে বেশি কাজতে চান না। বিতীয় শ্রেণীর একদল আছেন যার যতটুকু কাজ না করলে নয় সেইটুকুই করেন। তারা ততটুকুই কাজ করেন যারা রা চাকরি বলায় রাখা যায়। খুব একটি ক্ষুদ্র অংশ যে কাজের জন্য মাইনে পান তার থেকে কিছু বেশি করতে ইক। তারা বেশি করেন কেন? যদি আপনি এই সর্বশেষ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হন তাহলে প্রতিযোগিতা কোথায়? যে কাজের জন্য মাইনে পাওয়া যায় তার থেকে বেশি কাজ করার সুবিধে এইগুলি
* নিজেকে অন্যদের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য করে তোলা যায়।
* আত্মবিশ্বাসা বেড়ে যায়।
* পাশাপাশি যারা কাজ করেন তারা কাজের বিষয়ে আপনার নেতৃত্ব স্বীকার করে নেন।
* অন্যদের কাছে বিশ্বাস ভাজন হওয় যায়।
* ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা সম্মান করতে শুরু করেন।
* অধস্তন এবং ঊর্ধ্বতন, দুই তরফেই একটা আনুগত্যের সৃষ্টি হয়।
* সহযোগিতা পাওয়া সহজ হয়।
যদি আপনি কোনও একজন মানুষের জন্য কাজ করেন তাহলে, দোহাই আপনার, তার জন্যই কাজ করুন। –Kim Huvvard
বয়স, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন, নিম্নবর্ণিত গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের সর্বদাই চাহিদা আছে। যারা কঠোর পরিশ্রমী এবং তদারকি ছাড়াই কাজ করেন; যারা নিয়মানুবর্তী এবং বিবেচক; যারা যত্ন সহকারে শোনেন এবং সঠিকভাবে নির্দেশাবলী পালন করেন; যারা সত্য কথা বলেন; যারা সংকটের মুহূর্তে কাজ করতে ডাকলে নানা অজুহাত দেখান না, যারা কাজের থেকে ফলাফলের দিকে বেশি নজর দেন; যারা সবসময়ই প্রসন্ন এবং আচরণে সুন্দ্র।
সবসময়ই চিন্তা করুন, খরিদ্দার, বন্ধু স্ত্রী মাত-পিতা, কিংবা সস্তান-যেই হোক না কেন, যখন কাউকে কিছু দিতে চান তখন যেন প্রকৃত মূল্যের থেকে কিছু বেশি দিতে পারেন। যখন কিছু কাজ করেন তখন চিন্তা করুন, আমি কিভাবে যে কাজ করছি তাতে কিছু অতিরিক্ত মূল্য যোগ করতে পারি? অথবা অন্যকে আমি অতিরিক্ত কিছু কিভাবে দিতে পারি।
সাফল্যের সূত্রটিকে চারটি শব্দে সংক্ষেপে বলা যেতে পারে, এবং আরও কিছু বেশি…….। সফল ব্যক্তিরা প্রত্যাশিত কাজতো করেই এবং তারপর আরও কিছু বেশি করেন। তারা তাদের কর্তব্য করেন এবং তারপর আরও কিছু বেশি করেন। তারা দ্র এবং উদার এবং তার চেয়ে কিছু বেশি। তাদের উপর আরও বেশি নির্ভর করা যেতে পারে। তাদের শক্তি সামর্থ্যের সমস্তটাই কাজে নিয়োগ তো করেনই এবং আরও কিছু বেশি করেন।
নির্ভরশীলতা, দায়িত্বশীলতা এবং চরিত্রের নমনীয়তা ছাড়া কার্যক্ষমতা বোঝা-স্বরূপ হয়।
কেন কোনও কোনও বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাদের চমকপ্রদ শিক্ষাগত যোগ্যতা সত্ত্বেও বফলতার জীবন্ত প্রতীক হয়ে থাকেন। অথবা খুব বেশি হলে মামুলীভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন। কারণ তারা সমস্ত বিষয়ের নর্থক দিকগুলি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে দক্ষ হয়েছেন এবং একটি নেতিবাচক শক্তির ভাণ্ডার তৈরি করেছেন। তারা যে কাজের জন্য পারিশ্রমিক পান সে কাজটা করতে চান না অথবা যতটুকু কাজ না করলে নয় ততটুকুই করেন। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে তারা বিফলতার জীবন্ত প্রতীক হয়ে উঠবেন। যখন আমরা যে কাজের জন্য পারিশ্রমিক পাই তার থেকে বেশি কাজ করি তখন আমাদের কোন প্রতিদ্বন্দী থাকে না। প্রকৃতপক্ষে তখন আমাদের প্রতিযোগিতা নিজেদের সঙ্গে। মেধা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির থেকে এই দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্ব অনেক বেশি।
সংগ্রহ-তুমিও জিতবে


0 Comments