চরিত্রের ভিত্তির উপরই সব কিছু নির্মাণ করতে হয়-



যে সকল ব্যক্তি অনেক গুরুতর অসম্পূর্ণতাকে জয় করেছেন, তাদের জীবনকাহিনীতে দেখি যে সাফল্য লাভের এক জ্বলন্ত আকাঙক্ষা তাদের চালনা করে নিয়ে গেছে। তাদের জীবনের একটিই লক্ষ্য ছিল। সমস্ত বাধা সত্ত্বেও তারা কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন-এই কথাই তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন এবং করেও ছিলেন।

এই আকাঙক্ষাই পক্ষাঘাতগ্রস্ত উইলমা রুডলফকে দৌড়ে পৃথিবীর দ্রুততম মহিলা হিসাবে ১৯৬০ সালে অলিম্পিকে তিনটি স্বর্ণপদক জিতিয়েছিল। প্লেন কানিংহামের কথায়, পুড়ে যাওয়া পা নিয়ে একটি ছেলে একমাইল দৌড়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিল কেবল তীব্র আকাঙ্ক্ষার তাড়নায়।

পাঁচ বছরের পোলিও রোগগ্রস্ত একটি মেয়ে শক্তি ফিরে পাবার জন্য সাতার শুরু করে। ক্রমে সাঁতারে সাফল্য অর্জনের জন্য তার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মে। শেষ পর্যন্ত সাঁতারের তিনটি বিভাগে মেয়েটি রেকর্ড সৃষ্টি করে এবং ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক স্বর্ণপদক পায়। তার নাম শেলী ম্যান।

যখন লক্ষ্য হারিয়ে ফেলে তখন মানুষ কোনও সুযোগেরই সন্ধান পায় না। যদি কার্যসিদ্ধির আকাঙক্ষা থাকে, লক্ষ্য ঠিক থাকে। অভীষ্ট কাজে সাধনা থাকে। কঠোর শ্রমের জন্য যদি প্রয়োজনীয় খিলাবোধ থাকে তাহলে অন্যান্য বাধা সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু ঐ মেস্ত গুণাবলী যদি না থাকে, আর যাই থাকুক না কেন তাতে কিছুই লাভ হবে না।

চরিত্রের ভিত্তির উপরই সব কিছু নির্মাণ করতে হয়। তবেই তা স্থায়ী হয়।

সংগ্রহ-তুমিও জিতবে